Header Ads Widget

নারায়ণগঞ্জে আরএমজি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

 নারায়ণগঞ্জে আরএমজি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।


নারায়ণগঞ্জে আরএমজি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।



নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও সড়কের মদনপুর এলাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।


ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডিউটি ​​অফিসার রোজিনা আক্তার জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাহিন গার্মেন্টসের নিচতলা ও প্রথম তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়।


খবর পেয়ে, দমকলকর্মীরা বিকাল 4:45 মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং দমকল বাহিনীর 10টি ইউনিট এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে, কর্মকর্তা বলেছেন।

নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে অবস্থিত পোশাক কারখানায় ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইঞ্জিন সাড়ে চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। শাহজাহান সিকান্দার।


এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গার্মেন্টসে হামলার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। তারপর প্রথম ইউনিট 15 মিনিটের মধ্যে আসে। তারপর এক এক করে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানো হয়। অবশেষে ১৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।


ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের অফিসার ইনচার্জ মো. শাহজাহান সিকদার জানান, রাত ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আমরা হতাহতের কোনো প্রতিবেদন পাইনি। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় জাহিন নিটওয়্যার নামের কারখানার প্রধান অংশ বন্ধ থাকায় শ্রমিক ছিল খুবই কম। কারখানার হ্যামক বিভাগের কর্মচারী হাবিব জানান, কারখানায় প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তবে শুক্রবার অধিকাংশ ইউনিট বন্ধ ছিল। তবে প্রতিটি ইউনিটের কয়েকজন শ্রমিক তৈরি পোশাক প্যাক করে চালানের জন্য ৭ নম্বর ইউনিটে নিয়ে যাচ্ছিলেন।


কারখানার আশেপাশে অনেক শ্রমিকের বসবাস। দূর থেকে ধোঁয়া দেখে তারা আগুন নেভাতে ছুটে যান। পুরো এলাকায় ব্যাপক ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। কারখানার ২নং ইউনিটের দ্বিতীয় তলার শেডের আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন শ্রমিকরা। কিন্তু সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।


প্রথমে শ্রমিকরা জানালার কাঁচ ভেঙে ভেতরে ঢুকে ধোঁয়া বের করে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় তারা নিরাপদ দূরত্বে অবতরণ করেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

  

জাহিন নিটওয়্যারের নির্বাহী পরিচালক শফিউদ্দিন ভূঁইয়া জানান, আগুন লাগার পরপরই নিরাপত্তারক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করেন। দমকলকর্মীরা পৌঁছতে 30-35 মিনিট দেরি এই সময়ে আগুন 2, 4, 5 এবং 6 ইউনিটে ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা কর্মীরা ঘটনাটি কাছের একটি পুলিশ পোস্টে জানায়। পুলিশ বিদ্যুৎ বিভাগকে ফোন করে বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেয়।


তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ইউনিটের উপরের অংশ স্টিলের কাঠামো দিয়ে তৈরি। উপরের অংশটি কাঠ এবং তক্তা দিয়ে সজ্জিত এবং ভিতরের অংশটি সজ্জিত। গেঞ্জি, পোলো শার্ট, জ্যাকেট ও ট্রাউজার মূলত এখানে তৈরি হয়। এই তৈরি পোশাকের প্রচুর প্রতিটি ইউনিটের উপরে রাখা হয়েছিল। আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।


নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিলাল হুসাইন বলেন, কারখানা বড় হয়ে যাওয়ায় এবং আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় দমকল কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি কারখানা বন্ধ থাকায় ভেতরে কোনো শ্রমিক আটকা পড়েনি। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ